শ্রীশ্রীধনঞ্জয় দাস পত্রামৃত

ওঁ হরিঃ
পোঃ ও জিলা খুলনা
৫/২/৪০

পরম কল্যাণীয়াসু–
মাই ! অদ্য তোমার পত্র পাইলাম ।…. তোমার প্রশ্নের উত্তর নিম্নে লিখিতেছি ।
(১) হরি ও হর একই ভগবানের ভিন্ন রূপ, – ইহাই সত্য। বৈষ্ণবের দেবী পূজা দর্শনে বা প্রসাদ গ্রহণে দোষ নাই। তবে মাংসাদি বা তৎসংশ্লিষ্ট প্রসাদ বৈষ্ণব গ্রহণ করিবেন না।
(২) মালা তিলকাদি ধারণের উপদেশ যে গুরু করিয়া থাকেন তাহার বিশেষ ফল আছে; কোনও দীক্ষিত ব্যক্তি যদি গুরুর এই উপদেশ শ্রদ্ধার সহিত গ্রহণ না করেন বা তাহার প্রয়োজনীয়তা বিশ্বাস না করেন, তবে তাহার পক্ষে দীক্ষা না লওয়াই উচিত ছিল। দীক্ষা লওয়ার পর গুরুবাক্যের প্রতি অবহেলা করিয়া তাহা ধারণ না করিলে, অপরাধই হয় এবং সাধনে অগ্রসর হইতে পারে না । ভগবান তাহার প্রতি অপ্রসন্ন হইয়া যান। তুমি এই বিষয় লইয়া বিচার করিতে যাইও না, তুমি যেরূপ উপদেশ পাইয়াছ‌ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হইয়া তাহা পালন‌ করিতে চেষ্টা করিবে । এই বিষয়ে সাক্ষাৎ আলাপ হইলে ভালরূপে তোমাকে বুঝাইয়া দিতে পারিতাম । পত্রে আর অধিক লেখা যায় না ।….
বাহিরের নিন্দাস্তুতি মান‌ অপমান অগ্রাহ্য করিয়া নিশ্চলভাবে গুরুপদেশানুসারে ভজন করিয়া যাও , কল্যাণ লাভ হইবে।
প্রথমতঃ কিছুদিন দৃঢ়ভাবে নিয়ম নিষ্ঠা পালন করিলে লোকের ভাবের পরিবর্ত্তন হইয়া যায়, যে ব্যক্তি অবজ্ঞার ভাব দেখায়, সেই আবার তাহার‌ প্রতি ভক্তিসম্পন্ন হইয়া যায় ।
….অত্র মঙ্গল । ইতি–
আশীর্ব্বাদক
শ্রীধনঞ্জয়দাস

অনুলিখন- শ্রী বিশ্বনাথ রায়।